ভ্রমনের সময় বমি প্রতিরোধে ১০টি করণীয়
ভ্রমনের সময় বমি প্রতিরোধে ১০টি করণীয় আছে। ভ্রমনের সময় বমি প্রতিরোধের জন্য কি করণীয়, আপনি কি জানতে চাচ্ছেন?তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। ভ্রমনের সময় বমি প্রতিরোধে এই ১০টি বিষয় না জানলেই নয়।আসুন আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি বিষয় জানি।
.webp)
আমরা প্রত্যেকেই ভ্রমন করি।বাস,মাইক্র,উড়জাহাজ ইত্যাদি একেক সময় একেক জানবাহনে।এই সময় অনেকের বমি বমি ভাব আসে,অনেকে বমি করেন।আসলে আমাদের বমি কেন আসে জানেন কি?
সূচিপত্রঃভ্রমনের সময় বমি প্রতিরোধে ১০টি করণীয়
জানবাহনে ভ্রমনের সময় আমাদের শরীরের মধ্য এক ধরণের মোশন সিকনেস সৃষ্টি হয় অর্থ্যাৎ অনেকে একে বিষক্রিয়া বলে। এটির কারণ হলো, আমরা যখন ভ্রমন করি তখন আমাদের অন্তঃকর্ণ বা মস্তিষ্ক মনে করে যে আমরা স্থির অবস্থায় আছি।কিন্তু আমাদের চোখ তা বিশ্বাস করে না।চোখ দেখে সব কিছু চলমান এবং গতিশীল অবস্থায় আছে।এই দুটি বিষয়ের সমন্বয় হয় না।দুটি তথ্য দুই রকমের তথ্য দিচ্ছে শরীরে।তখন আমাদের শরীরের মধ্য মোশন সিকনেস অর্থ্যাৎ বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।তার পর বমি চলে আসে।
অনেকের শরীর এই পর্যায় টি কাটিয়ে উঠতে পারে। এটি কাটিয়ে উঠতে কিছুই মনে হয় না।যারা এটি কাটিয়ে উঠতে পারে না তাদের বমি হয়।আরো কিছু কারণ রয়েছে, যার করণে ভ্রমনের সময় বমি আসে।যেমন বাস বা মাইক্রতে এক ধরণেড গন্ধ বা গ্যাস হয়।এই গন্ধ বা গ্যাস থেকে বমি হওয়ার বিষয় টি স্বাভাবিক।
আরো একটি কারণ রয়েছে যার কারণে ভ্রমনের সময় বমি আসে।সেটি হলো ভ্রমনের সময় বাস বা ট্রেন যে পথে যাচ্ছে তার বিপরীত মুখী সিটে বসে যাত্রা করলে বমি হয়। কারণ এই ভাবে যাত্রাতে অনেকের শরীর এবং মস্তিষ্ক স্বাভাবিক ভাবে এটি মেনে নিতে পারে না।তখন শরীরে মোশন সিকনেস অর্থ্যাৎ বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তাই আমরা যারা বমি করি তারা চেষ্টা করবো যাত্রা পথে বাহনের বিপরী মুখী সিটে না বসে সোজা সুজি সিটে বসে যাত্রা করার।
আমরা ভ্রমনের সময় বমি প্রতিরোধে যে ১০টি কাজ করবো তা নিম্নরুপ আলোচনা করা হলো।
১/ প্রথমত আমরা যারা বমি করি তারা ভ্রমনের আগে ভর্তি পেটে খাবার খাওয়া যাবে না।চেষ্টা করতে হবে খুবই সামান্য খাবার খেয়ে ভ্রমন করার।আর যদি অধিক মাত্রায় খাবার খাই তাহলে বমি আর কোনো কিছু করে অটকানো সম্ভাব না।
২/ ভ্রমনের সময় আমরা সেন্টার ফুট, সুইনগাম, বা আদা মুখে রাখতে পারি।কিছুক্ষণ পর পর এটি চাবালে বমি বমি ভাব টা আসবে না।এটি হাস্যকর মনে হতে পারে কিন্তু বাস্তব প্রমান থেকে বলছি এই উপায় ১০০% উপকার পাবেন।
৩/ভ্রমনের সময় আমরা যারা বমি করি তারা বমি এড়াতে যানবাহনে উঠে ঘুমানোর চেষ্টা করবো।এতে করে ঘুমের মধ্য বমি বমি ভাব আসবে না। শরীর ও মস্তিষ্ক ভালো ভাবে কাজ করবে। বমি এড়াতে এটি খুবই ভালো একটি উপায়।
৪/ ভ্রমনের সময় অনেক উপায়ে বমি প্রতিরোধ করা যায় তার মধ্য অন্যতম উপায় হলো মেডিসিন।
যেমন আপনি যদি ভ্রমনের ৩০ মিনিট আগে ভারগোন ট্যাবলেট সেবন করে তাহলে আপনার আশাকরি আর বমি আসবে না।
বাস,মাইক্র,ট্রেন ইত্যাদি জানবাহনে ভ্রমনের সময় অনের বমি হয়।এটি খুবই সমস্যা জনক একটি বিষয়। ভ্রমনের সময় এটি স্কিপ করা অসম্ভব ব্যাপার।তাই ভ্রমনের আগে আপনার প্রস্তুতি নিতে হবে।যেমন আপনি জানবাহনে যাত্রার একটু আগে আদা চা খাবেন।এতে আপনার বমি বমি ভাবটা রোধ করবে।অনেক বিশ্বাস নাও করতে পারে, কিন্তু আমি বলছি এটি একটি বাস্তব উদাহরণ থেকে নেওয়া।
ভ্রমনের সময় বমি বমি ভাব এড়াতে আপনি উপরের এই সব বিষয় প্রয়োগ করলে অবশ্যই আশানুরূপ ভালো ফলাফল পাবেন।তার পরে ও যদি আপনার মনে হয় আর একটু সর্তক হতে চাই তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারবেন।
তবে অনেক যাত্রী বাস,ট্রেন,মাইক্র,উড়জাহাজ ইত্যাদিতে ভ্রমনের সময় বমন করে।কিন্তু কথা হচ্ছে সেই যাত্রী যদি অন্তঃসত্ত্বা হয় তাহলে সেটি ঝুকিপূর্ণ। তাই উপরোক্ত বিষয় গুলো তার জন্য মানা উচিত নয়।তাই অন্তঃসত্ত্বা মহিলার অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভ্রমন করা উচিত বলে আমি মনে করি।ভ্রমনের সময় বমি অনেকেই করেন।তাদের জন্য উপরোক্ত টিপস এর মধ্য আরেকটি অন্যতম টিপস হলো ভ্রমনের আগে অল্প পরিমানে খাবার খেতে হবে।তবে সেই অল্প খাবার টি যাতে মিষ্টি জাতীয় না হয়।মিষ্টি জাতীয় খাবারের ফলে বমি ভাবটা বেশি আসে।
শেষ মন্তব্যঃভ্রমনের সময় বমি প্রতিরোধে ১০টি করণীয়
বিভিন্ন যান বাহনে ভ্রমণের সময় যাদের বমি হয় তাদের ভ্রমণের আগেই প্রস্তুতি নিতে হবে। ভ্রমন করার পর চিন্তা করে কোন লাভ নেই। উপরোক্ত বিষয়গুলি মেনে চললে আশা করি আপনার ভ্রমণের সময় বমি হবে না।এই সবগুলো বিষয় গুলো পড়ার পরে ও আপনার যদি মনে হয় যে বমি তার পরেও হবে। তাহলে সবগুলো নিয়ম মেনে ভ্রমণ করুন আশা করি ১০০% ভ্রমণের সময় বমি হবে না।
আপনি আকাশ ইনফো আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url