গ্রীষ্মকালে যে পাঁচটি সবজি অবশ্যই খাবেন
গ্রীষ্মকালে গরম তাপমাত্রা প্রতিরোধে এই পাঁচটি সবজি অবশ্যই খেতে হবে। অন্যথায়
আপনি অনেক রোগের সম্মুখীন হতে পারেন। গ্রীষ্মকালে গরমের সাথে সাথে আমাদের খাবারের
রুচির পরিবর্তন হতে শুরু করে।
.jpeg)
আমরা প্রায় সবাই হালকা খাবার বা ঠান্ডা পানীয় খাবারে আকৃষ্ট হই। কিন্তু বিষয় হচ্ছে আপনি ঠান্ডা থাকার পাশাপাশি কি খাবার গুলো খাচ্ছেন সেদিকে
আপনার খেয়াল রাখা উচিত।
গ্রীষ্মকাল আমাদের শরীর হাইড্রেটেড থাকার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে।তাই এই
প্রচুর তাপমাত্রা আমাদের শরীর ক্লান্ত করে দেয়।
এই গ্রীষ্মকালে আমরা অনেকেই ডিহাইড্রেশনে ভুগি।ডিহাইড্রেশন এর কারণে শরীরের অনেক
ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদের খাদ্য তালিকায়
গুরুত্বপূর্ণ সবজি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। অনেকেই মনে করে যে গ্রীষ্মকালে
শাক-সবজির পরিমাণ কমে যায়।আসলে এটি কোনভাবে মেনে নেওয়ার বিষয় নয়।
বাংলাদেশ হচ্ছে কৃষি প্রধান দেশ, প্রত্যেক মৌসুমে আলাদা আলাদা শাকসবজি উৎপাদন
হয়। এই সবজি গুলো শুধু আমাদের হালকা বা ঠান্ডা রাখে না।এই সবজিগুলোর মাধ্যমে
আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে শক্তি যোগান
সহায়তা করে। তাই চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক পাঁচটি সবজির নাম এবং তাদের উপকারের
কথা-
আরো পড়ুন : কচু শাকের বিভিন্ন রেসিপি
সূচিপত্র : গ্রীষ্মকালের পাঁচটি সবজির উপকারীতা নিম্নরুপ;
- করলা
- শসা
- লাউ
- ঝিঙে
- কুমড়া
- মন্তব্য
গ্রীষ্মকালে করলার উপকারীতা সম্পর্কে জানি
গ্রীষ্মকালে যে পাঁচটি সবজি অবশ্যই খাবেন তার মধ্যে করলা সবজিটি অন্যতম। করলা
সবজিতে থাকে ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ঋতু পরিবর্তনের সাথে
সাথে ইমিউনিটি শক্তি কমে যায়।
.jpeg)
করলা সবজিটি খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা অর্থাৎ ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধ করে।করলা সবজিটি হজম শক্তি এবং রক্তে শকর্রার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
করলা অনেক ভাবে রান্না করা যায়।
এটি ভালোভাবে রান্না করা হয় তাহলে এটির স্বাদ অনেক এবং সুস্বাদ।করলার
স্বাদ একটু তিতা, তাই ডাইবেটিস প্রতিরোধে অনেক ভাল কাজ করে। আমাদের নিয়মিত
খাবারে করলা তালিকাভুক্ত করতে হবে। অনেকেই করলা খেতে চাই না,আর বাচ্চারা তো আরো
খেতে চায় না।আমাদের বড়দের উচিত বাচ্চাদের এই অভ্যাস টি তৈরি করা।
গ্রীষ্মকালে শসার উপকারীতা সম্পর্কে জানি
গ্রীষ্মকালে যে পাঁচটি সবজি অবশ্যই খাবেন তার মধ্য শসা অন্যতম একটি সবজি।এটি হজম শক্তি
দ্বিগুন করে।গ্রীষ্মকালে যত রকমের সবজি আছে তার মধ্য বলতে গেলে সতেজ ও ঠান্ডা
সবজি শসা।গ্রীষ্মকালে আমাদের পানি স্বল্পতা দেখা দেয়।
.jpeg)
যার কারণে আমারা অনেকে
ডিহাইড্রেশনে ভুগি।শসাতে থাকে ৯৫ % পানি যা পনিসল্পতা দূর করে।
এটি আমরা অনেকভাবে খেতে পারি। ভাতের সাথে সালাদ হিসেবে খাওয়া যায়।এটি আমাদের
শরীরের ক্যালসিয়াম বৃদ্ধিতে সহায়তা
করে। শসা তে থাকে ভিটামিন কে যা হাড়ের
স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।গ্রীষ্মকালে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হয়।শসা
খাওয়ার ফলে পানি পানের পরিমাণ কম হলেও সমস্যা হয় না।
গ্রীষ্মকালে লাউ এর উপকারিতা জানি
গ্রীষ্মকালে যে পাঁচটি সবজি অবশ্যই খাবেন তার মধ্য লাউ অন্যতম।লাউ গরম কালের
জন্য একটি খুব ভালো সবজি।লাউ হজম শক্তি বৃদ্ধি করে,কোলেস্টরল
নিয়ন্ত্রণ করে।লাউয়ে অনেক ক্যালসিয়াম আছে আমাদের হাড় মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে।
.jpeg)
আমরা অনেকে লাউ পছন্দ করি না।কিন্তু এটি ভালো ভাবে রান্না করতে পারলো দুর্দান্ত
সুস্বাদু লাগবে।লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে তাই লাউ খেলে পানি সল্পতা দূর
করে। বড়দের সাথে সাথে বাচ্চারা ও লাউ খেতে চাই না।
তাই বড়দের সাথে সাথে বাচ্চাদের
ও লাউ খাওয়ার অভ্যাস করাতে হবে।
গ্রীষ্মকালে ঝিঙের উপকারিতা সম্পর্কে জানি
গ্রীষ্মকালে যে পাঁচটি সবজি অবশ্যই খাবেন তার মধ্য ঝিঙে অন্যতম।অনেকে ঝিঙের নাম
শুনে নাক কাই নাক শিটকায়।তবে জানলে অবাক হবেন ঝিঙাতে রয়েছ ভিটামিন সি, ভিটামিন এ,
আয়রন ইত্যাদি।
.jpeg)
গ্রীষ্মকালে ঝিঙা বাজারে প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। এটি রোগ প্রতিরোধে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এটি অবশ্যই খেতে হবে।চোখ ভালো
রাখার জন্য খাবারের তালিকায় ঝিঙা সবজি রাখতে হবে।
গ্রীষ্মকালে কুমড়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানি
গ্রীষ্মকালে যে পাঁচটি সবজি অবশ্যই খাবেন তার মধ্যে কুমড়া অন্যতম। কুমড়া শরীরের
৯০% পানির ঘাটতি পূরণ করে। কুমড়ায় থাকে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
.jpeg%20KUMDA.jpeg)
কুমড়া আমরা অনেক ভাবে খেতে পারি।ভালে ভাবে রান্না করলে খুব সুন্দর খাবার হয়।চিংড়ি কুমড়ার তরকারী অনেক স্বাদের
তরকারী।এটি একটি পানি
জাতীয় সবজি তাই গরমে এর ভূমিকা অপরিহার্য।
মন্তব্য :
উপরোক্ত বিষয় গুলো পড়ে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে গ্রীষ্মকালে সবজির গুরুত্ব কতটা।তাই আমরা গ্রীষ্মকালে উপরের উল্লেখযোগ্য ৫ টি সবজি খাওয়ার চেষ্টা করবো।গ্রীষ্মকালে অসুস্থতার মূলকারণ হলো ডিহাইড্রেশন।তাই অমরা অবশ্যই পানি সল্পতার হাত থেকে রক্ষা পেতে সবজি খাবো।
আপনি আকাশ ইনফো আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url